বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত সাগরকন্যা কুয়াকাটা; যেখানে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায়। প্রতিবছরই বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আগমন ঘটে কুয়াকাটায়। বিশেষ করে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ সুবিধা বাড়ায় কুয়াকাটায় সারাবছরই প্রচুর পর্যটক আসছেন।
এবার গত ২১ ফেব্রুয়ারির একদিন পর সাপ্তাহিক দু’দিন ছুটি। এই সুযোগে অনেকেই বৃহস্পতিবারসহ চারদিনের ছুটি নিয়ে পরিবার নিয়ে কুয়াকাটায় ঘুরতে গেছেন। গত কয়েক দিন পর্যটকদের ভিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল কুয়াকাটা সৈকতের প্রতিটি পয়েন্ট। অনেক আগেই বুকিং হয়ে গেছে আবাসিক হোটেল-মোটেল। ফলে আগেভাগে বুকিং না দিয়ে আসা পর্যটকরা হোটেল না পেয়ে অবস্থান করছেন আশপাশের বাসা-বাড়িতে।
গতকাল শুক্রবার সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখা যায়, আনন্দ উল্লাসে মেতেছেন নানা বয়সের পর্যটক। খুলনা থেকে আসা আব্দুর রহমত বলেন, আমি পরিবার নিয়ে কুয়াকাটা এসেছি। ভেবেছিলাম এসে হোটেলে রুম বুক করব। কিন্তু এখানে এসে কোথাও রুম না পেয়ে সৈকতের পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির কক্ষ ভাড়া নিয়ে রয়েছি। তবে এই বাড়িও থাকার জন্য অনেকটা নিরাপদ এবং পরিবেশসম্মত।
কুয়াকাটা পৌরসভার পাঞ্জুপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল সুকানি জানান, তাঁর বাসা সৈকত থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে। বাড়িতে তাঁর পরিবারের থাকার পাশাপাশি অতিরিক্ত দুটি রুম রয়েছে। এরমধ্যে একটি রুম গত বৃহস্পতিবার দু’দিনের জন্য তিন হাজার টাকায় ভাড়া দিয়েছেন। কুয়াকাটাতে যখন অতিরিক্ত পর্যটক আসে তখন তিনি রুম দুটি ভাড়া দেন। গ্রামের পরিবেশে রুমগুলো কম ভাড়ায় পেয়ে পর্যটকরাও অনেক খুশি থাকেন।
এদিকে কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ জানান, তিন-চার দিনের টানা ছুটিতে পর্যটকদের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এই বন্ধকে উপলক্ষ্য করে গত দশ দিন আগে থেকেই হোটেলগুলো বুকিং হতে শুরু করেছে। আজ (শুক্রবার) যারা হোটেল বুকিং না দিয়ে কুয়াকাটা এসেছে তারা কিছুটা ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। আগামী সপ্তাহেও এমন চাপ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, এই ছুটিতে অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটেছে কুয়াকাটায়। পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের কয়েকটি টিম মোতায়েন রয়েছে। সার্বক্ষণিক নজরদারি ও সাদা পোশাকে আমরা কাজ করছি।